জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সড়কগুলোতে। গণপরিবহন প্রায় নেই বললেই চলে। পরিবহনের অপেক্ষায় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। পাওয়া যাচ্ছে না গণপরিবহন।
এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।
ডিজেলের দাম হঠাৎ করে যে পরিমাণ বেড়েছে, তাতে আগের ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করা বাসগুলোর পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই আপাতত যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রাস্তার দুই পাশে রাজধানীতে চলাচল করা বাসগুলো সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।
অফিসগামী আবীর নজরুল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আনসার ক্যাম্প থেকে প্রতিদিন গাড়িতে উঠি। আজ সকালেও বাসা থেকে বের হই। রাস্তায় এসে তাজ্জব বনে যাই। দেখি বাস নেই। অনেকক্ষণ পর পর দু-একটা বাস এলেও সেগুলো মানুষে ঠাসা। কয়েকটিতে চেষ্টা করেও উঠতে পারিনি। ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পরে একটি গাড়িতে ওঠার সুযোগ পাই। সেটাতেও পা ফেলানোর মতো জায়গা ছিল না। ‘
এদিকে শুক্রবার রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলের মূল্য ভোক্তা পর্যায়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, লিটারপ্রতি অকটেন ১৩৫ টাকা ও লিটারপ্রতি পেট্রল ১৩০ টাকা হবে। এর প্রভাব পড়েছে সড়কে। বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ।